Write an application to the Headmaster for early leave.

 To 

   The Headmaster, 

   Tehatta High School, 

   Tehatta, Nadia

Sir, 

     I beg most respectfully to state that I am a student of Class- VII, Section-A, Roll No- 1 of your school. (1) I feel very ill now. I am willing to go home. (2) I have a piece of urgent business at home. 

      May I, therefore hope and pray that your gracious heart would be kind enough to allow me to go home after the second period.


Puratan Jitpur, Tehatta, Nadia                                                                              Your most obedient pupil,

June 26, 2023                                                                                                          Konika Mandal

                                                                                                                                    Class-VII

                                                                                                                                  Sec- A, Roll No-1


Write an application to the Headmaster/Headmistress for leave of absence.

To 

   The Headmaster/Headmistress,

   Tehatta High School,

   Tehatta, Nadia

Sir/Madam,

                   I beg most respectfully to state that I am a student of class VII, Section- A, Roll No- 1 of your school. I could not attend school from 13th to 15th May on account of fever.

                    May I, therefore, hope and pray that your gracious heart would be kind enough to grant me leave of absence for those three days only.


Puratan Jitpur, Tehatta, Nadia                                                        Your most obedient pupil,

  May 16, 2023                                                                                                 Konika Mandal

                                                                                                                               Class-VII

                                                                                                                          Sec-A, Roll No-1


Paragraph on Noise Pollution/Sound Pollution

 Causes and Effects of Sound Pollution

Noise Pollution/Sound Pollution


Sound pollution is one of the gravest threats to the environment we live in. There are many sources of sound pollution. The frequent and senseless use of microphones is the main cause of sound pollution. The indiscriminate use of loudspeakers is a kind of headache to the peace-loving people both in the villages and towns.

The bursting of crackers is responsible for creating sound pollution. The use of horns in vehicles also causes this pollution. The hooting from busy places, shouting of slogans, and sounds from mills and factories also greatly contribute to sound pollution.

Sound pollution poses a lot of dangers in our lives. The students are greatly disturbed by the unnecessary excessive sound. The old and sick people cannot have sound sleep at night. The jarring sound works havoc on their nerves. It creates a lot of health hazards and makes our lives miserable. It causes deafness, high blood sugar, high blood pressure, tension, heart problems, psychological imbalance, and even death.

    The Sound Pollution Control Board and the High Court have taken effective measures to bring sound pollution under control. The Kolkata High Court passed an order not to cross the 65-decibel limit in any case. But mere laws cannot check this problem of pollution. What is urgently needed is to raise people's awareness of the possible danger of sound pollution.

ট্রেডিং এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সেরা মুভিং এভারেজ স্ট্র্যাটেজি বা কৌশল (Best Moving Average Strategy for Trading and Investing)!

 এর আগের দিন আমরা মুভিং এভারেজ কি এবং কিভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করবো যে ট্রেডিং এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সবথেকে কার্যকরী এবং প্রমাণিত মুভিং এভারেজ স্ট্রাটেজি নিয়ে।

তবে শুরু করার আগে বলে রাখি যে শেয়ার মার্কেট এমন একটি জায়গা যেখানে কেউ ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারবেনা যে কোনো শেয়ার বা স্টকের দাম কখন কোনদিকে যাবে। যেকোনো সময় মার্কেট যেকোনো দিকে মুভ করতে পারে।

তবে একজন ট্রেডের হিসাবে শেয়ার মার্কেট থেকে টাকা উপার্জন করতে গেলে আমাদের ১০০% নির্ভুল হতে হবে এমনটা নয়। 

এমনকি যদি আমরা কোনো ট্রেডকে সঠিকভাবে ম্যানেজ করতে পারি তাহলে আমাদের শেয়ার মার্কেট থেকে লাভবান হতে গেলে ৫০% নির্ভুলতারও প্রয়োজন নেই। 

তো চলুন আর দেরি না করে আজকের স্ট্রাটেজি নিয়ে আলোচনা করি। 

মুভিং এভারেজ স্ট্রাটেজি -১(Moving Average Strategy-1)

প্রথম স্ট্রাটেজি তে আমরা দুরকমের মুভিং এভারেজ নিয়ে আলোচনা করবো। প্রথমটি হলো শর্টার পিরিয়ড মুভিং এভারেজ এবং দ্বিতীয়টি হলো লঙ্গার পিরিয়ড মুভিং এভারেজ। 

(i ) আমরা কোনো স্টক বা শেয়ার কিনবো (go long) যখন শর্টার পিরিয়ড মুভিং এভারেজ লঙ্গার পিরিয়ড মুভিং এভারেজেকে ক্রস করে উপরে যাবে। 

double moving average strategy
  উপরের ছবিতে ১নং পয়েন্টে শর্টপিরিয়ড মুভিং এভারেজ (৫ পিরিওড মুভিং এভারেজ) (লাল রঙের) লংগার পিরিওড মুভিং এভারেজ (১০ পিরিওড মুভিং এভারেজ) কে  (নীল রংয়ের)ক্রস করে উপরের দিকে যাচ্ছে। অর্থাৎ পয়েন্ট ১ এ আমরা স্টক কিনতে পারি।

এবং পয়েন্ট ২ যেখানে ৫পিরিওড মুভিং এভারেজ ১০ পিরিওড মুভিং এভারেজ কে ক্রস করে নিচের দিকে যাচ্ছে। অর্থাৎ পয়েন্ট ২ তে আমরা স্টক বিক্রি করে ট্রেড থেকে বেরিয়ে আসতে পারি।

  শর্টার পিরিয়ড মুভিং এভারেজের লংগার পিরিয়ড মুভিং এভারেজকে ক্রস করে উপরে যাওয়াকে বুলিশ ক্রস বা গোল্ডেন ক্রসও বলা হয়ে থাকে।

(i i ) আমরা কোনো স্টক বা শেয়ার বিক্রি করবো (go short ) যখন শর্টার পিরিয়ড মুভিং এভারেজ লঙ্গার পিরিয়ড মুভিং এভারেজকে ক্রস করে নিচের দিকে যাবে। 

double moving average sell signal


শর্টার পিরিয়ড মুভিং এভারেজের লংগার পিরিয়ড মুভিং এভারেজেকে ক্রস করে নিচের দিকে যাওয়াকে বিয়ারিশ  ক্রস বা ডেথ ক্রসও বলা হয়। 

(i i i ) মুভিং এভারেজ স্ট্রাটেজি ব্যবহার করার সময় আমাদের RSI কে অবশ্যই যোগ করা উচিত। গোল্ডেন ক্রস এর সময় আমরা স্টক বা শেয়ার কিনবো যদি RSI এর মান ৫০ এর উপরে থাকে এবং 

একইরকমভাবে ডেথ ক্রস এর সময় RSI এর মান যদি ৫০ এর নিচে থাকে তাহলেই আমরা ওই শেয়ার বিক্রি করবো(short sell )। 



           ট্রেডার বা ইনভেস্টরদের মধ্যে জনপ্রিয় মুভিং এভারেজ হলো- ৫০, ১০০ এবং ২০০ পিরিয়ড মুভিং এভারেজ। 

 এবং ইন্ট্রাডে ট্রেডিং(intraday trading) বা শর্টটার্ম ট্রেডিং এর জন্য আমরা ১০ পিরিয়ড এবং ২০ পিরিয়ড মুভিং এভারেজ ব্যবহার করতে পারি। 

মুভিং এভারেজ স্ট্র্যাটেজি -২(Moving Average Strategy -2):

এই স্ট্র্যাটেজি তে আমরা তিনটি মুভিং এভারেজ ব্যাবহার করবো। প্রথমটি শর্টটার্ম, দ্বিতীয়টি মিডটার্ম এবং তৃতীয়টি লং টার্ম মুভিং এভারেজ।

এর মধ্যে শরটটার্ম মুভিং এভারেজ কে ব্যাবহার করবো buy বা শেয়ার কেনার সিগনাল পেতে।

শর্ট টার্ম মুভিং এভারেজ যখন মিড টার্ম মুভিং এভারেজকে ক্রস করে উপরে যায় তখন কেনার সিগনাল দিয়ে থাকে এবং যখন শর্ট টার্ম মুভিং এভারেজ মিড টার্ম মুভিং এভারেজকে ক্রস করে নিচের দিকে যায় তখন সেল বা বিক্রির সিগনাল দিয়ে থাকে।

অর্থাৎ, এই স্ট্র্যাটেজি তে শর্ট টার্ম এবং মিড টার্ম মুভিং এভারেজ ব্যাবহার করা হয় কোনো ট্রেডে এন্ট্রি বা এক্সিট সিগনাল পেতে।

এবং লং টার্ম মুভিং এভারেজকে ব্যাবহার করা হয় মার্কেটএর ট্রেন্ড আপ ট্রেন্ড না ডাউন ট্রেন্ড (Up Trend or Down Trend) তা জানার জন্য।

অর্থাৎ, আমরা শেয়ার কিনতে পারি যখন শর্ট টার্ম মুভিং এভারেজ মিড এবং লং টার্ম মুভিং এভারেজ এর ২টি কেই ক্রস করে উপরের দিকে যায়।

এবং আমরা ট্রেড থেকে এক্সিট করবো যখন শর্ট টার্ম মুভিং এভারেজ মিড টার্ম মুভিং এভারেজ কে ক্রস করে নিচের দিকে যায়।

 একইরকমভাবে আমরা শেয়ার বিক্রি করবো যখন শর্ট টার্ম মুভিং এভারেজ মিড এবং লং টার্ম মুভিং এভারেজ এর ২টি কেই ক্রস করে নিচের দিকে যায়।

এবং আমরা ট্রেড থেকে এক্সিট করবো যখন শর্ট টার্ম মুভিং এভারেজ মিড টার্ম মুভিং এভারেজ কে ক্রস করে উপরের দিকে যায়।

  আমরা উপরে উল্লেখিত দুটি মুভিং এভারেজ স্ট্র্যাটেজিকেই intraday, positional বা long term (buy and hold) এর জন্য ব্যাবহার করতে পারি।

চলুন এবার দেখে নেওয়া যাক উপরে আলোচিত মুভিং এভারেজ স্ট্র্যাটেজি দুটিকে কিভাবে আমরা positional, intraday or day trading এর জন্য ব্যাবহার করতে পারি।

মুভিং এভারেজ স্ট্র্যাটেজি পজিশনাল বা সুইং ট্রেডিং এর জন্য(Moving Average Strategy for Positional or Swing Trading):

Positional বা সুইং ট্রেডিং এর জন্য আমরা ১৪, ২১ এবং ৫০ পিরিওড exponential মুভিং এভারেজ ব্যাবহার করতে পারি।

আপ trending মার্কেটে আমরা কোনো স্টক বা শেয়ার কিনবো যখন ১৪ পিরিওড মুভিং এভারেজ ২১ পিরিওড এবং ৫০ পিরিওড মুভিং এভারেজকে ক্রস করে উপরের দিকে যাবে।

অপরদিকে ডাউন trending মার্কেটে আমরা কোনো স্টক বা শেয়ার বিক্রি করবো( শর্ট সেল) যখন ১৪ পিরিওড মুভিং এভারেজ ২১ পিরিওড এবং ৫০ পিরিওড মুভিং এভারেজ কে ক্রস করে নিচের দিকে যাবে। 

এবং উপরের উভয় ক্ষেত্রেই RSI এর মান দেখে আমাদের কনফার্ম হয়ে নিতে হবে।

অনেকে বলতে পারেন যে positional বা সুইং ট্রেডিং এর জন্য কোন টাইমফ্রেম এর চার্ট ব্যাবহার করবো? 

সেক্ষেত্রে বলবো Positional ট্রেডিং এর জন্য আমরা hourly চার্ট অর্থাৎ one hour chart ব্যাবহার করতে পারি ট্রেড এ এন্ট্রি বা এক্সিট এর জন্য।

ডে ট্রেডিং বা intraday ট্রেডিং এর জন্য বেস্ট মুভিং এভারেজ সেটিংস ( Best Moving Average Settings for Day Trading or Intraday Trading):

Intraday Trading এ buy এবং sell সিগনাল পাবার জন্য আমরা ৫, ১০ এবং ২০ পিরিওড exponential মুভিং এভারেজ ব্যাবহার করতে পারি।

কোনো আপ ট্রেন্ড এ ৫ পিরিওড EMA যখন ১০ পিরিওড এবং ২০ পিরিওড EMA er উপরে ক্রস করবে তখন শেয়ার কিনতে পারি এবং যখন ৫ পিরিওড EMA ১০ পিরিওড EMA কে ক্রস করে নিচের দিকে যায় তখন ট্রেড থেকে এক্সিট করতে পারি 

triple moving average strategy buy signal


একইরকমভাবে কোনো ডাউন ট্রেন্ড এ ৫ পিরিওড EMA যখন ১০ পিরিওড ও ২০ পিরিওড EMA কে ক্রস করে নিচের দিকে যায় তখন আমরা শেয়ার বিক্রি করতে পারি এবং যখন ৫ পিরিওড EMA ১০ পিরিওড EMA কে ক্রস করে উপরের দিকে যায় তখন ট্রেড থেকে এক্সিট করবো বা বের হয়ে আসবো।

আগের মতোই কোনো ট্রেড এ ঢোকার আগে RSI এর মান দেখে কনফার্ম হয়ে নিতে হবে।

triple moving average sell signal


উপসংহার:

যেহেতু মুভিং এভারেজ স্ট্র্যাটেজি trending মার্কেটে ভালো কাজ করে তাই কোনো ট্রেড এ প্রবেশ করার আগেই আমাদের বুঝে নিতে হবে যে মার্কেট কি অবস্থায় আছে অর্থাৎ মার্কেট trending অবস্থায় আছে না sideway অবস্থায় আছে।

যদি মার্কেট trending ফেজ এ থাকে তবেই মুভিং এভারেজ স্ট্র্যাটেজি ব্যাবহার করবো। কিন্তু যদি মার্কেট trending অবস্থায় না থেকে sideway অবস্থায় থাকে তাহলে মুভিং এভারেজ স্ট্র্যাটেজি ব্যাবহার করবোনা।

কারণ sideway মার্কেটে মুভিং এভারেজ স্ট্র্যাটেজি বার বার False Signal দিতে থাকবে। সেক্ষেত্রে লস হবার সম্ভাবনা খুব বেশি।











মুভিং এভারেজ কি এবং মুভিং এভারেজ ব্যবহার করে কিভাবে কোনোরকম ঝুঁকি ছাড়াই শেয়ার কেনা বা বিক্রি করা যায়(What is Moving Average and how to buy or sell shares without any risk using Moving Average?)

 মুভিং এভারেজ(Moving Average) ট্রেডিং বা ইনভেস্টিং এর ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি ব্যবহৃত টেকনিক্যাল ইনডিকেটরদের মধ্যে অন্যতম। এটি এমন একটি ইনডিকেটর যার মাধ্যমে কোনো ট্রেডার বা ইনভেস্টার যেকোনো ট্রেন্ডের শেষ অবধি থাকতে পারেন।

আগেই বলে রাখি যে ভালো ট্রেডার হতে গেলে মুভিং এভারেজের ক্যালকুলেশন না জানলেও চলে। মুভিং অ্যাভারেজ কিভাবে কাজ করে সেটা জানলেই কাজ চালিয়ে নেওয়া যায়। 

আমি একটু পরেই বলবো যে মুভিং অ্যাভারেজ কিভাবে কাজ করে। তবে তার আগে মুভিং অ্যাভারেজ কি এবং কেন সে বিষয়ে অল্প বিস্তর আলোচনা করে নিই।

মুভিং অ্যাভারেজ সাধারণত শেষ n বার বা ক্যান্ডেলের closing প্রাইস নিয়ে গণনা করা হয়ে থাকে, যেখানে n হলো ১ থেকে শুরু করে যেকোনো নাম্বার বা সংখ্যা। 

প্রথমে শেষ n বার বা ক্যান্ডেলের closing প্রাইসকে যোগ করে n দিয়ে ভাগ করে অ্যাভারেজ বা গড় মান বের করা হয় তারপর ওই মানকে প্রাইস চার্টের উপর প্লট(Plot) করে একটি লাইন পাওয়া যায় যাকে আমরা মুভিং অ্যাভারেজ বলে থাকি। 

নিচের ছবিতে লাল রঙের দাগটি হলো SBIN এর ১০ পিরিয়ড মুভিং অ্যাভারেজ যাকে তিনটি লাল রঙের অ্যারো দিয়ে মার্ক করে দেখানো হয়েছে। 
এখানে বলে রাখি যে ১০ পিরিয়ড হলো শেষ ১০ টি ক্যান্ডেলের closing প্রাইসের গড় মানকে লাল রঙের লাইনটির উপর প্লট করা হয়েছে। 

10 period moving average
10 Period Moving Average of State Bank of India Marked by Red Coloured Arrow

নিচের ছবিটি ভালো করে লক্ষ্য করুন। এখানে ৫ পিরিয়ড মুভিং অ্যাভারেজ নীল রঙের দাগের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে। 
আগের ১০ পিরিয়ড এর মতোই ৫ পিরিয়ড হলো শেষ ৫ টি ক্যান্ডেলের closing প্রাইসের গড় মানকে নীল রঙের লাইনটির উপর প্লট করা হয়েছে। 
5 period moving average
5 Period Moving Average of State Bank of India Marked by Blue Coloured Arrow

মুভিং এভারেজের প্রকারভেদ(Types of Moving Average):

মুভিং এভারেজ সাধারণত দুই প্রকার। যথা : 
১. সিম্পল মুভিং এভারেজ (Simple Moving Average)
২. এক্সপোনেনশিয়াল মুভিং এভারেজ(Exponential Moving Average)

এই দুই ধরণের মুভিং এভারেজই ট্রেন্ডিং মার্কেটে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। দুজনেই কোনো ট্রেন্ডের শেষ অবধি থাকতে সাহায্য করে থাকে। 
কিন্তু এদের দুজনের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো যে এক্সপোনেনশিয়াল মুভিং এভারেজ সিম্পল মুভিং এভারেজের থেকে প্রাইসের প্রতি বেশি সংবেদনশীল বা sensitive. 
অর্থাৎ  EMA বা এক্সপোনেনশিয়াল মুভিং অ্যাভারেজ, SMA বা সিম্পল মুভিং এভারেজের  চেয়ে দামের প্রতি দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখায় বা খুব তাড়াতাড়ি প্রাইসের সাথে সাথে মুভ করতে থাকে। 
নিচের ছবিটি ভালো করে খেয়াল করে দেখুন তাহলে বুঝতে সুবিধা হবে। 


20 period SMA and EMA
20 Period SMA and 20 Period EMA's movement to Price


২০ পিরিয়ড EMA (লাল রঙের) ২০ পিরিয়ড SMA (নীল রঙের ) এর তুলনায় একটু তাড়াতাড়ি শেয়ারের দামের সাথে সাথে মুভ করছে। 

মুভিং এভারেজ ব্যবহার করে ট্রেডে এন্টি এবং এক্সিট(Enty and Exit in a Trade Using Moving Average):
ট্রেন্ডিং মার্কেটে মুভিং এভারেজ ব্যাবহার করে আমরা কোনো ট্রেডে এন্ট্রি অর্থাৎ প্রবেশ করতে বা কোনো ট্রেড থেকে এক্সিট অর্থাৎ বের হয়ে আসতে পারি।

সাধানভাবে, যখন কোনো স্টক বা শেয়ারের দাম মুভিং এভারেজ এর উপরে যায় অর্থাৎ মুভিং এভারেজ এর উপরে ক্রস করে তখন আমরা কোনো ট্রেডে এন্ট্রি অর্থাৎ প্রবেশ করতে পারি বা শেয়ার কিনতে পারি।

এবং স্টক বা শেয়ারের দাম যখন মুভিং এভারেজ এর নিচে যায় বা নিচে ক্রস করে তখন আমরা ট্রেড থেকে এক্সিট অর্থাৎ বেরিয়ে আসতে পারি বা শেয়ার বিক্রি করতে পারি।

buy and sell stock using moving average


উপরের ছবিটি ভালো করে লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন যে মুভিং এভারেজ ব্যবহার করে কিভাবে আমরা কোনো স্টক বা শেয়ার কিনতে বা বেচতে পারি। 

ছবিতে শেয়ারের দাম যখন মুভিং এভারেজের উপরে যাচ্ছে (ছবিতে No. 1) তখন আমরা শেয়ার কিনবো এবং যখন শেয়ারের দাম মুভিং এভারেজের নিচে যাচ্ছে(ছবিতে No.2) তখন আমরা শেয়ার বিক্রি করবো। 


মুভিং এভারেজ মেথডের সুবিধা এবং অসুবিধা(Moving Average Method Advantages and Disadvantages):
আমরা এতক্ষণে জেনে গেছি যে মুভিং এভারেজ সবথেকে ভালো কাজ করে trending মার্কেটে। এমনকি কোনো ট্রেন্ডের শেষ অবধি থাকতে সাহায্য করে।
অর্থাৎ আমরা বলতে পারি যে কোনো ট্রেন্ড এ বেশি সময় থাকতে গেলে মুভিং এভারেজ হলো খুবই মূল্যবান একটি টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর।
উদাহরণ হিসাবে যদি আমরা উপরের ছবিটি নিয়ে থাকি এবং No.1 এ পয়েন্টে যদি আমরা ৫০০ টি SBIN এর শেয়ার কিনে থাকি এবং No.২ এ যদি ৫০০ টি শেয়ার বিক্রি করে থাকি তাহলে আমাদের কি পরিমান লাভ হয় একটু হিসাব করে দেখে নিই। 
No.1 এ শেয়ারের দাম হলো  ৪৫৪ টাকা এবং  No.2 এ শেয়ারের দাম হলো ৪৭২ টাকা। 
অর্থাৎ ১ টা শেয়ার এ লাভ হচ্ছে ১৮ টাকা এবং ৫০০ টি শেয়ারে লাভ হচ্ছে (৫০০*১৮)=৯০০০ টাকা। 
এই অল্প সময়ের মধ্যে  ৯০০০ টাকা লাভ, খুব একটা খারাপ নয়।



তবে মুভিং এভারেজ যেহেতু একটি lagging ইন্ডিকেটর তাই কোনো sideway মার্কেটে মুভিং এভারেজ ব্যাবহার করা খুবই বিপদজনক যদি না sideway মার্কেটে এর ব্যাবহার ঠিকমতো জানা না থাকে। 
কারণ sideway মার্কেটে মুভিং এভারেজ খুব ঘন ঘন কেনা এবং বেচার সিগনাল (buying and selling signal) দিয়ে থাকে যার ফলে ঘন ঘন লসের সম্মুখীন হতে হয়।
উপসংহার:
ট্রেন্ডিং মার্কেটে মুভিং এভারেজ খুবই সাহায্যকারী একটি টেকনিক্যাল ইনডিকেটর। তবে sideway বা চপি মার্কেটে শুধুমাত্র মুভিং এভারেজ ব্যবহার করে ট্রেড করা খুবই বিপদজনক। 
মুভিং এভারেজ এর সাথে অন্য কোনো ইনডিকেটর (যেমন RSI) ব্যবহার করে buying বা selling সিগন্যাল কন্ফার্ম হয়ে নেওয়া উচিত। আমি অন্য কোনো পোস্ট এ কিভাবে RSI বা MACD Indicator ব্যবহার করে মুভিং এভারেজের buying বা selling সিগন্যাল কন্ফার্ম হতে হয় সে বিষয়ে লিখবো। তবে আপনাদের এ বিষয়ে  আরো কিছু জানার থাকলে কমেন্ট এ জানাতে পারেন বা ভালো কোনো উপদেশ দিতে পারেন। 




 
 



একজন অনভিজ্ঞ ব্যক্তি হিসাবে কিভাবে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করবেন(How to Invest in Stock Market as a Beginner)?

How to Invest in the Share Market in India?

একজন অনভিজ্ঞ ব্যক্তি হিসাবে বা একজন বিগিনার হিসাবে শেয়ার মার্কেটে বা স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করা খুবই কঠিন এবং জটিল মনে হতে পারে। তবে আজকে ইন্টারনেটের যুগে শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করা যতটা কঠিন বলে মনে হয় ঠিক ততটা কঠিন নয়। বলতে গেলে শেয়ার মার্কেটে ইনভেস্ট করা খুবই সহজ। 

আজকে আমরা আলোচনা করবো যে শেয়ার মার্কেটে কিভাবে ইনভেস্ট করা যায়। তবে তার আগে জেনে নিই শেয়ার মার্কেট কি এবং কেনো শেয়ার মার্কেটে ইনভেস্ট করবো?

how to invest in stock market


স্টক মার্কেট বা শেয়ার মার্কেট কি(What is The Stock Market)?

খুব সহজ করে বলতে গেলে শেয়ার মার্কেট হলো একটি সর্বজনীন বাজার যেখানে কোনো কোম্পানির স্টক বা শেয়ার কেনা বেচা হয়। কোনো কোম্পানির একটি শেয়ার হলো একটি ইলেকট্রনিক ডকুমেন্ট যা কেনার মাধ্যমে আপনি ওই কোম্পানির আংশিক মালিকানাতে পরিণত হন যা আপনি যখন খুশি বেচে দিতে পারেন। 

বিগত কয়েক দশক ধরে, স্টক এবং রিয়েল এস্টেট হল দুটি বিনিয়োগ, যা ক্রমাগত ভারতে অন্য সব ধরনের বিনিয়োগকে হার মানিয়েছে।

ব্যাঙ্ক ফিক্সড ডিপোজিট, ইন্সুরেন্স, বন্ড বা সোনা যাই হোক না কেন স্টক মার্কেট প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে এদের থেকে বেশি রিটার্ন দিয়ে থাকে। 

তাই বলা হয় যে যারা তাদের টাকাকে বাড়াতে চান তাদের খুব অল্প বয়স থেকেই স্টক মার্কেটে ইনভেস্ট করা উচিত। 

ভারতের দুটি প্রধান স্টক মার্কেট হলো NSE বা ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ এবং BSE বা বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ। 

এর মধ্যে NSE হলো সবথেকে বড়। 

NSE এবং BSE ছাড়া আরো যে স্টক এক্সচেঞ্জ ভারতে আছে তা হলো MCX(মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ) কমোডিটি যেমন সোনা, অ্যালুমিনিয়াম ইত্যাদি কেনা বেচা করার জন্য এবং IEX(ইন্ডিয়ান এনার্জি এক্সচেঞ্জ)।

অনলাইনে কিভাবে ভারতে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করবেন(How to Invest in the Share Market in India Online)?

এখন আপনি যদি ভাবেন যে স্টক মার্কেটে ইনভেস্ট করবেন তাহলে সরাসরি আপনি ইনভেস্ট করতে পারবেন না। আপনাকে স্টক মার্কেটে শেয়ার কেনাবেচা করতে হলে যে কোনো ব্রোকারের মাধ্যমে  বা আপনাকে কোনো স্টক ব্রোকারের প্লাটফর্ম(ওয়েবসাইট বা App) ব্যবহার করে শেয়ার কেনা বেচা করতে হবে। 

  • স্টক কেনাবেচা শুরু করতে হলে আপনাকে একটি ট্রেডিং একাউন্ট খুলতে হবে। ট্রেডিং একাউন্ট হলো এমন একটি একাউন্ট যেখানে আপনি আপনার শেয়ার কেনা বেচা করবেন বা অর্ডার প্লেস করবেন। 
  • ব্রোকার বা স্টক ব্রোকারেজ প্লাটফর্ম আপনার জন্য একটি demat account খুলবে যাতে আপনার কেনা শেয়ার বা স্টক গুলো আপনার নামে জমা থাকবে। Demat account সম্পর্কে আপনার যদি বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে বলবো যে আপনি Demat Account কে একটি গোডাউন হিসাবে ধরতে পারেন। গোডাউনে যেমন কোনো ব্যাবসার জিনিস রেখে দেওয়া হয় তেমনি করে Demat Account এ আপনার কেনা শেয়ার গুলো জমা থাকবে যতদিন না আপনি সেগুলি বিক্রি করেন।
  • ট্রেডিং একাউন্ট এবং Demat একাউন্ট দুটি আপনার ব্যাঙ্ক একাউন্ট এর সাথে যুক্ত থাকে যাতে আপনার বিক্রি করা শেয়ার থেকে যে অর্থ পাবেন তা আপনার নিজের ব্যাঙ্ক একাউন্ট এ তুলে নিতে পারেন বা ইচ্ছামতো ব্যাঙ্ক একাউন্ট থেকে ট্রেডিং একাউন্ট এ টাকা ভরতে পারেন শেয়ার কেনার জন্য। 


একটি ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলতে আপনার কোন কোন নথির প্রয়োজন(What Documents do You Need to Open a Demat Account?)?

 একটি Demat Account খুলতে যা যা লাগবে:

ব্যাঙ্ক একাউন্ট(Bank Account);

প্যান কার্ড(Pan Card) ;

ঠিকানার প্রমান(Proof of Address);

ক্যানসিল্ড চেক বা ব্যাংকের লাস্ট ৩ বা ৬ মাসের স্টেটমেন্ট (Canceled Check or Statement of Bank of last 3 or 6 months).


শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে কত খরচ হয় এবং কোন ব্রোকার ব্যবহার করা উচিত (What is the cost of investing in the stock market and Which Broker Should I Use)?

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে কত টাকা খরচ হয় তা নির্ভর করে আপনি শেয়ার কেনাবেচা করতে কোন ব্রোকার বা কোন ব্রোকারের প্লাটফর্ম ব্যবহার করছেন। 

কারণ ভিন্ন ভিন্ন ব্রোকার তাদের প্লাটফর্ম ব্যবহার করার জন্য ভিন্ন ভিন্ন চার্জ নিয়ে থাকে।

তবে আপনি যদি ঠিকমতো ব্রোকার বেছে নিতে পারেন তাহলে আপনার খরচ অনেকটাই কমে যাবে। 

খরচ এর ব্যাপারে যখন বলছি তখন বলে রাখা ভালো যে শেয়ার মার্কেটে শেয়ার কেনাবেচা দুই ধরণের হয়ে থাকে।

 একরকম হলো যেদিন কিনবেন সে দিনই যদি শেয়ার বেচে দেন যা Intraday ট্রেডিং নামে পরিচিত এবং আরেক রকম হলো যে আজ হয়তো শেয়ার কিনলেন এবং বিক্রি করলেন এক সপ্তাহ বা এক মাস বা এক বছর বা দশ বছর পরে।

 এরকম বেশি সময় পরে শেয়ার বিক্রি করাকে বলা হয় Delivery ট্রেডিং। 

ডেলিভারি এবং Intraday ট্রেডিং এর চার্জ ভিন্ন হয়ে থাকে তবে আমি যে ব্রোকার ব্যবহার করি তা হলো Zerodha.

 Zerodha ডেলিভারি ট্রেডিংয়ের জন্য কোনো চার্জ নেয়না অর্থাৎ zerodha এর মাধ্যমে আপনি কোনো রকম চার্জ ছাড়াই ফ্রিতে অনেক সময় ধরে যে কোনো কোম্পানির শেয়ার কিনে রাখতে পারেন। 

এবং Zerodha তে Intraday ট্রেডিং এর চার্জও ভারতে সব থেকে কম অর্থাৎ ভারতবর্ষে যত ব্রোকার আছে তার মধ্যে Zerodha সব থেকে কম চার্জ নিয়ে থাকে। 
 [Zerodha তে একাউন্ট খুলতে  https://zerodha.com/ লিংকে ক্লিক করুন]

বিনিয়োগের জন্য সর্বনিম্ন কত টাকা প্রয়োজন(The Minimum amount for investing)?

Minimum Investment in Sharemarket in India

ভারতের শেয়ার বাজারে এরকম কোনো সর্বনিম্ন বা সর্বোচ্চ  পরিমান বলে কিছু নেই। একটাকা থেকে শুরু করে আশি হাজার টাকা দামের ওপরে শেয়ার আছে। নির্ভর করছে আপনি কোন কোম্পানির শেয়ার কিনবেন। 

ধরুন আপনি x নামক কোনো কোম্পানির ১ টাকা দামের একশোটি শেয়ার কিনবেন। সেক্ষেত্রে আপনার একশো টাকা লাগবে। 

অথবা ধরুন আপনি y নামক কোনো কোম্পানির ১০ টি শেয়ার কিনবেন যার ১ টি শেয়ারের দাম ৫০০০ টাকা। তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার ৫০,০০০ টাকা লাগবে। 

ভারতীয় স্টক মার্কেটে বিনিয়োগের সর্বনিম্ন বয়স কত(What is the Minimum Age to Invest in Stock Market in India)?

ভারতীয় স্টক মার্কেটে ইনভেস্ট করার জন্য বয়সের বাধ্য বাধকতা নেই। 

তবে যেহেতু Demat Account খুলতে হলে Pan কার্ড লাগে তাই মিনিমাম ১৮ বছর হলেই স্টক মার্কেটে ইনভেস্ট করা যায়। 

কারণ ১৮ বছরের আগে প্যান কার্ড এর জন্য আবেদন করা যায়না। 

তবে কেউ যদি ১৮ বছরের আগেই ইনভেস্ট করতে চাই সেক্ষেত্রে সে তার বাবা বা মায়ের Demat Account ব্যবহার করতে পারে। 


ভারতে স্টক মার্কেটে একজন কত আয় করতে পারে(How much one can earn in stock market in India)?

আপনি এক মাসে স্টক মার্কেট থেকে কত উপার্জন করতে পারেন তার কোনও সীমা নেই। আপনি ট্রেড করে যে অর্থ উপার্জন করতে পারেন তা হাজার, লক্ষ বা তারও বেশি হতে পারে।

তবে আপনার উপার্জন নির্ভর করবে আপনার স্কিল এবং ধৈর্য্যের উপর।

কখন স্টক মার্কেটে ইনভেস্ট শুরু করা উচিত(When Should You Start Investing)?

সমস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য তিনটি সুবর্ণ নিয়ম হল:

  • যত তাড়াতাড়ি পারা যায়  বিনিয়োগ করা শুরু করা;
  • নিয়মিত বিনিয়োগ করা;
  • দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ করা অর্থাৎ অনেক বেশি সময়ের জন্য শেয়ার কিনে রাখা (সব কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় );

সবসময় মনে রাখা উচিত সম্পদ তৈরি করা, এবং বিনিয়োগের উপর রিটার্ন পেতে সময় এবং ধৈর্য লাগে। আদর্শভাবে, যতটা সম্ভব তরুণ বয়সে বিনিয়োগ শুরু করা উচিত।

                                                           অর্থাৎ যে কেউই স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করতে পারে। স্টক মার্কেটে যদি ঠিকমতো সময় দেওয়া যায় এবং ভালো করে স্টক মার্কেট নিয়ে পড়াশোনা করা যায় তাহলে প্রচুর পরিমানে সম্পদ বানানো যায়। 






অনলাইনে কিভাবে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করবেন?

কোভিড-১৯ এর কারণে বেশিরভাগ মানুষের আজ গৃহবন্দি অবস্থায় দিন কাটছে! 

এমনকি বিশ্বব্যাপী লকডাউনের কারণে অনেকেই কাজ হারিয়ে বেকার অবস্থায় দিন যাপন করছেন। 

এই অবস্থায় বাড়িতে বসেই করা যায় এমন কিছু কাজ যদি আপনার জানা থাকে তাহলে কেমন হয়?

চলুন আজ আমরা এমন কিছু কাজ সম্পর্কে জানবো যেগুলো করতে আপনাকে বাড়ির বাইরে যেতে হবেনা বা অফিসে বসের মুখ ঝাড়াও খেতে হবেনা। 

প্রথমেই বলে রাখি যে এই কাজগুলো করতে আপনার শুধুমাত্র একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট থাকলেই হবে।

তবে কিছু কিছু কাজ আপনি আপনার স্মার্ট ফোনের মাধ্যমেও করতে পারবেন।

তো চলুন আর বেশি কথা না বাড়িয়ে কাজগুলো সম্পর্কে জেনে নিই। আমরা আজ যে কাজ গুলো সম্পর্কে আলোচনা করবো সেগুলো হলো:
১. ব্লগিং (Blogging):
২. ট্রেডিং (Trading):
৩. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing):
৪. ইউটিউবার:
৫. সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার:
৬. আমাজনে kindle eBook প্রকাশ করার মাধ্যমে:

উপরে উল্লেখিত কাজগুলি করে আপনি অনলাইন থেকে  প্রচুর পরিমাণে আয় করতে পারবেন। চলুন এবার কাজগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক -
১. ব্লগিং (Blogging): 
আপনি কি প্যাসিভ ইনকাম করতে চান তাহলে দেরি না করে আজই ব্লগিং করা শুরু করুন। 

ব্লগিং এমন একটি উপায় যার মাধ্যমে আপনি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।

আপনি যদি প্রথম ছয় মাস বা একবছর নিয়মিতভাবে আপনার ব্লগে লিখে যেতে পারেন তাহলে ছয় মাস বা একবছর পর আপনাকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হবেনা। 
অন্তত টাকার জন্যে কারো কাছে হাত পাততে হবেনা।

অনেক উপায় আছে যার মাধ্যমে আপনি আপনার ব্লগকে মনেটাইজ (Monetize) বা ব্লগ থেকে ইনকাম করতে পারেন। অন্য কোনো একদিন ব্লগকে কিভাবে Monetize করা যায় সে সম্পর্কে আলোচনা করবো।

কিভাবে একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট বানানো যায় কোনো রকম কোডিং ছাড়াই তার একটি গাইডলাইন আমি আমার অন্য একটি ব্লগে লিখে রেখেছি, চাইলে সেটি দেখে দেখেও আপনি আপনার ব্লগ তৈরি করতে পারেন।(কিভাবে ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরী করতে পারবেন তার গাইড লাইন https://www.smartsourav.com/how-to-start-a-blog-step-by-step-guide-for-beginner/ )

ইচ্ছা করলে ২০ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যেই আপনি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট বানিয়ে ফেলতে পারেন।

আমি আমার ব্লগকে হোস্ট করার জন্য Bluehost ব্যবহার করে থাকি। ইচ্ছা করলে আপনিও Bluehost ব্যবহার করতে পারেন। 
Bluehost ব্যবহার করার কিছু সুবিধা রয়েছে। সেগুলি হলো -
a. Bluehost এ আপনি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট হোস্ট করলে ফ্রীতে ডোমেইন নাম(Domain Name ) নিতে পারবেন যা আপনি অন্য কোনো কোম্পানির থেকে নিতে গেলে প্রতি বছর অতিরিক্ত ৮০০ বা ১০০০ টাকা দিতে হবে। 

b. ফ্রি SSL এবং CDN পাবেন যা অন্য কোম্পানি থেকে নিতে গেলে অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়। 

c . তাছাড়া Bluehost এর সাপোর্ট টীম খুবই নাম করা। ব্লগ বা ওয়েবসাইট নিয়ে কোনো প্রব্লেম হলেই bluehost এর সাহায্যকারী টীম আপনাকে ৩ থেকে ৫ সেকেন্ডের মধ্যেই সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসবে। এমনকি প্রথমবারের মতো যখন ব্লগ তৈরী করবেন তখনও bluehost এর সাপোর্ট টীম আপনাকে সাহায্য করবে ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরী করতে।
 
এছাড়া আরো অনেক সুবিধা পাওয়া যাই যা আমি আমার অন্য কোনো পোস্ট এ উল্লেখ করবো। 
এখানে আমি Bluehost এর লিংক দিয়ে দিলাম যাতে আপনারা সরাসরি bluehost এ গিয়ে ব্লগ তৈরী করে নিতে পারেন এবং আপনার স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতে পারেন।  
লিংক টি হলো :  https://www.bluehost.com/

২. অনলাইন মার্কেট ট্রেডিং (Trading):
অনলাইন মার্কেট ট্রেডিং কে আমি আমার লিস্টের দ্বিতীয় স্থানে রেখেছি কারণ অনলাইন মার্কেট ট্রেডিং বা স্টক মার্কেট ট্রেডিং এ রিস্ক থাকলেও আপনি যদি ঠিকমতো ট্রেডিং শিখে নিতে পারেন তাহলে আপনি আপনার বাড়িতে বসেই ল্যাপটপ বা মোবাইলের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে টাকা আয় করতে পারেন। 

তবে ট্রেডিং এ সবসময় রিস্ক বা ঝুঁকি থেকেই যায় তাই ট্রেডিংয়ে আপনার ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে প্রথম ছয় মাস বা একবছর খুব ভালো করে শিখে নেবেন।

আপনারা হয়তো ওয়ারেন বাফেট বা রাকেশ ঝুনঝুন ওয়ালার কথা শুনে থাকবেন যাঁরা আজ শেয়ার মার্কেট বা স্টক মার্কেট থেকে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা আয় করছেন।
এখন আপনি যদি ভেবে থাকেন যে কোথা থেকে কিভাবে স্টক মার্কেটে ইনভেস্ট বা ট্রেডিং করবেন তাহলে আমি যে ব্রোকার এর কথা বলবো তা হলো Zerodha
Zerodha হলো একমাত্র ব্রোকার যাঁরা খুব কম খরচে ট্রেডিং করার সুযোগ দিয়ে থাকে। 
এমনকি Zerodha এর মাধ্যমে আপনি বিনামূল্যে স্টক মার্কেটে লং পিরিয়ড এর জন্য ইনভেস্ট করতে পারেন।
আমি নিজে Zerodha ব্যাবহার করে থাকি ইনভেস্ট এবং ট্রেডিং এর জন্য।
Zerodha তে account ওপেন করতে চাইলে এই লিংকটি তে গিয়ে করতে পারেন https://zerodha.com/

৩. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing):
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমেও আপনি বাড়িতে বসেই প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা উপায় করতে পারেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মধ্যে আমাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং খুবই জনপ্রিয়। আমাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে যে কেউ ইনকাম করতে পারে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন অ্যাফিলিয়েট অন্য ব্যক্তির বা কোম্পানির পণ্য বা জিনিস  মার্কেটিং এর জন্য একটি কমিশন উপার্জন করে। 
একজন অ্যাফিলিয়েট তার ইচ্ছামতো একটি জিনিসকে তার ব্লগ বা ইউটউব চ্যানেল এর মাধ্যমে প্রচার করে এবং প্রতিটি বিক্রয় থেকে লাভের একটি অংশ উপার্জন করে। 

৪. ইউটিউবার: 
আজকাল আমরা প্রায় সবাই ইউটিউব ব্যাবহার করে থাকি। 

তবে আপনি এটা কি জানেন যে আপনার এবং আমার মত অনেক মানুষ আছে যারা তাদের সম্পূর্ণ আয় করে থাকেন ইউটিউব থেকে। 

হ্যাঁ, ঠিক ই পড়ছেন। 

ইউটিউব থেকে আপনিও ইনকাম করতে পারেন যদি ইচ্ছা থাকে। 

আপনি যেকোনো বিষয়ে ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপনার চ্যানেলে আপলোড করতে পারেন। 

প্রথম দিকে হয়তো অনেক কম মানুষ আপনার ভিডিও দেখবেন কিন্তু ৩ থেকে ৪ মাস যদি আপনি ঠিকমতো পরিশ্রম করেন তাহলে দেখবেন আপনার আপলোড করা ভিডিও আগের থেকে অনেক বেশি মানুষ দেখছেন। 

এবং একটা সময় আপনি ইউটিউবের সাথে পার্টনারশিপের মাধ্যমে আপনার চ্যানেল থেকে প্রচুর পরিমাণে ইনকাম করতে সক্ষম হতে পারবেন।
শুধুমাত্র ইউটিউবের সাথে পার্টনারশিপের মাধ্যমেই নয়, আরো অনেক উপায় আছে যার মাধ্যমে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা উপায় করতে পারেন।
৫. সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সর:
আজকের দিনে ৮ থেকে ৮০ বছরের প্রায় সবাই ফেসবুক ব্যাবহার করে থাকেন বা ফেসবুকের ব্যাপারে জানেন।
তবে বেশিরভাগ মানুষই ফেসবুক ব্যাবহার করে তাদের প্রয়োজনীয় সময় নষ্ট করে থাকেন। 
কিন্তু আমি যদি বলি যে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বা টুইটার এর মত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো ব্যাবহার করেও আপনি প্রচুর টাকা আয় করতে পারেন তাহলে হয়তো ভাববেন যে আমি ভুলভাল বলছি। কিন্তু না। 
আজকের দিনে অনেক মানুষ আছেন যাঁরা ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোকে ব্যাবহার করছেন তাদের আয়ের একটা বড় অংশ উপার্জন করতে।
ফেইসবুকে আপনার যদি ফ্রেন্ড সংখ্যা বা আপনার ফলোয়ার অনেক বেশি হয় তাহলে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া influener হিসাবে অনেক টাকা আয় করতে পারেন।
তাছাড়া আপনি আপনার ফেসবুক প্রোফাইল বা ফেসবুক পেজকে ব্যাবহার করে আপনার ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেলে লক্ষ লক্ষ ভিজিটর টানতে পারেন যা আপনার ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেলের ইনকাম অনেক টাই বাড়িয়ে দিতে পারে। 
৬. আমাজনে kindle eBook প্রকাশ করার মাধ্যমে:
লেখা যদি আপনার প্যাশন হয়, তাহলে লেখার মাধ্যমে যদি ইনকাম করতে পারেন তাহলে ক্ষতি কোথায়? 
আমাজন এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে আপনি আপনার ডিজিটাল বই প্রকাশ করার মাধ্যমেও ইনকাম করতে পারেন। পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ আছেন যারা শুধুমাত্র আমাজন এ ebook প্রকাশ করার মাধ্যমে তাদের প্রয়োজনীয় উপার্জন করে থাকেন। 

 







Write an application to the Headmaster for early leave.

  To     The Headmaster,     Tehatta High School,     Tehatta, Nadia Sir,       I beg most respectfully to state that I am a student of Clas...