How to Invest in the Share Market in India?
একজন অনভিজ্ঞ ব্যক্তি হিসাবে বা একজন বিগিনার হিসাবে শেয়ার মার্কেটে বা স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করা খুবই কঠিন এবং জটিল মনে হতে পারে। তবে আজকে ইন্টারনেটের যুগে শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করা যতটা কঠিন বলে মনে হয় ঠিক ততটা কঠিন নয়। বলতে গেলে শেয়ার মার্কেটে ইনভেস্ট করা খুবই সহজ।
আজকে আমরা আলোচনা করবো যে শেয়ার মার্কেটে কিভাবে ইনভেস্ট করা যায়। তবে তার আগে জেনে নিই শেয়ার মার্কেট কি এবং কেনো শেয়ার মার্কেটে ইনভেস্ট করবো?
স্টক মার্কেট বা শেয়ার মার্কেট কি(What is The Stock Market)?
খুব সহজ করে বলতে গেলে শেয়ার মার্কেট হলো একটি সর্বজনীন বাজার যেখানে কোনো কোম্পানির স্টক বা শেয়ার কেনা বেচা হয়। কোনো কোম্পানির একটি শেয়ার হলো একটি ইলেকট্রনিক ডকুমেন্ট যা কেনার মাধ্যমে আপনি ওই কোম্পানির আংশিক মালিকানাতে পরিণত হন যা আপনি যখন খুশি বেচে দিতে পারেন।
বিগত কয়েক দশক ধরে, স্টক এবং রিয়েল এস্টেট হল দুটি বিনিয়োগ, যা ক্রমাগত ভারতে অন্য সব ধরনের বিনিয়োগকে হার মানিয়েছে।
ব্যাঙ্ক ফিক্সড ডিপোজিট, ইন্সুরেন্স, বন্ড বা সোনা যাই হোক না কেন স্টক মার্কেট প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে এদের থেকে বেশি রিটার্ন দিয়ে থাকে।
তাই বলা হয় যে যারা তাদের টাকাকে বাড়াতে চান তাদের খুব অল্প বয়স থেকেই স্টক মার্কেটে ইনভেস্ট করা উচিত।
ভারতের দুটি প্রধান স্টক মার্কেট হলো NSE বা ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ এবং BSE বা বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ।
এর মধ্যে NSE হলো সবথেকে বড়।
NSE এবং BSE ছাড়া আরো যে স্টক এক্সচেঞ্জ ভারতে আছে তা হলো MCX(মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ) কমোডিটি যেমন সোনা, অ্যালুমিনিয়াম ইত্যাদি কেনা বেচা করার জন্য এবং IEX(ইন্ডিয়ান এনার্জি এক্সচেঞ্জ)।
অনলাইনে কিভাবে ভারতে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করবেন(How to Invest in the Share Market in India Online)?এখন আপনি যদি ভাবেন যে স্টক মার্কেটে ইনভেস্ট করবেন তাহলে সরাসরি আপনি ইনভেস্ট করতে পারবেন না। আপনাকে স্টক মার্কেটে শেয়ার কেনাবেচা করতে হলে যে কোনো ব্রোকারের মাধ্যমে বা আপনাকে কোনো স্টক ব্রোকারের প্লাটফর্ম(ওয়েবসাইট বা App) ব্যবহার করে শেয়ার কেনা বেচা করতে হবে।
- স্টক কেনাবেচা শুরু করতে হলে আপনাকে একটি ট্রেডিং একাউন্ট খুলতে হবে। ট্রেডিং একাউন্ট হলো এমন একটি একাউন্ট যেখানে আপনি আপনার শেয়ার কেনা বেচা করবেন বা অর্ডার প্লেস করবেন।
- ব্রোকার বা স্টক ব্রোকারেজ প্লাটফর্ম আপনার জন্য একটি demat account খুলবে যাতে আপনার কেনা শেয়ার বা স্টক গুলো আপনার নামে জমা থাকবে। Demat account সম্পর্কে আপনার যদি বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে বলবো যে আপনি Demat Account কে একটি গোডাউন হিসাবে ধরতে পারেন। গোডাউনে যেমন কোনো ব্যাবসার জিনিস রেখে দেওয়া হয় তেমনি করে Demat Account এ আপনার কেনা শেয়ার গুলো জমা থাকবে যতদিন না আপনি সেগুলি বিক্রি করেন।
- ট্রেডিং একাউন্ট এবং Demat একাউন্ট দুটি আপনার ব্যাঙ্ক একাউন্ট এর সাথে যুক্ত থাকে যাতে আপনার বিক্রি করা শেয়ার থেকে যে অর্থ পাবেন তা আপনার নিজের ব্যাঙ্ক একাউন্ট এ তুলে নিতে পারেন বা ইচ্ছামতো ব্যাঙ্ক একাউন্ট থেকে ট্রেডিং একাউন্ট এ টাকা ভরতে পারেন শেয়ার কেনার জন্য।
বিনিয়োগের জন্য সর্বনিম্ন কত টাকা প্রয়োজন(The Minimum amount for investing)?
Minimum Investment in Sharemarket in India
ভারতের শেয়ার বাজারে এরকম কোনো সর্বনিম্ন বা সর্বোচ্চ পরিমান বলে কিছু নেই। একটাকা থেকে শুরু করে আশি হাজার টাকা দামের ওপরে শেয়ার আছে। নির্ভর করছে আপনি কোন কোম্পানির শেয়ার কিনবেন।
ধরুন আপনি x নামক কোনো কোম্পানির ১ টাকা দামের একশোটি শেয়ার কিনবেন। সেক্ষেত্রে আপনার একশো টাকা লাগবে।
অথবা ধরুন আপনি y নামক কোনো কোম্পানির ১০ টি শেয়ার কিনবেন যার ১ টি শেয়ারের দাম ৫০০০ টাকা। তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার ৫০,০০০ টাকা লাগবে।
ভারতীয় স্টক মার্কেটে বিনিয়োগের সর্বনিম্ন বয়স কত(What is the Minimum Age to Invest in Stock Market in India)?
ভারতীয় স্টক মার্কেটে ইনভেস্ট করার জন্য বয়সের বাধ্য বাধকতা নেই।
তবে যেহেতু Demat Account খুলতে হলে Pan কার্ড লাগে তাই মিনিমাম ১৮ বছর হলেই স্টক মার্কেটে ইনভেস্ট করা যায়।
কারণ ১৮ বছরের আগে প্যান কার্ড এর জন্য আবেদন করা যায়না।
তবে কেউ যদি ১৮ বছরের আগেই ইনভেস্ট করতে চাই সেক্ষেত্রে সে তার বাবা বা মায়ের Demat Account ব্যবহার করতে পারে।
ভারতে স্টক মার্কেটে একজন কত আয় করতে পারে(How much one can earn in stock market in India)?
আপনি এক মাসে স্টক মার্কেট থেকে কত উপার্জন করতে পারেন তার কোনও সীমা নেই। আপনি ট্রেড করে যে অর্থ উপার্জন করতে পারেন তা হাজার, লক্ষ বা তারও বেশি হতে পারে।
তবে আপনার উপার্জন নির্ভর করবে আপনার স্কিল এবং ধৈর্য্যের উপর।
কখন স্টক মার্কেটে ইনভেস্ট শুরু করা উচিত(When Should You Start Investing)?
সমস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য তিনটি সুবর্ণ নিয়ম হল:
- যত তাড়াতাড়ি পারা যায় বিনিয়োগ করা শুরু করা;
- নিয়মিত বিনিয়োগ করা;
- দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ করা অর্থাৎ অনেক বেশি সময়ের জন্য শেয়ার কিনে রাখা (সব কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় );
সবসময় মনে রাখা উচিত সম্পদ তৈরি করা, এবং বিনিয়োগের উপর রিটার্ন পেতে সময় এবং ধৈর্য লাগে। আদর্শভাবে, যতটা সম্ভব তরুণ বয়সে বিনিয়োগ শুরু করা উচিত।
অর্থাৎ যে কেউই স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করতে পারে। স্টক মার্কেটে যদি ঠিকমতো সময় দেওয়া যায় এবং ভালো করে স্টক মার্কেট নিয়ে পড়াশোনা করা যায় তাহলে প্রচুর পরিমানে সম্পদ বানানো যায়।