একজন অনভিজ্ঞ ব্যক্তি হিসাবে কিভাবে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করবেন(How to Invest in Stock Market as a Beginner)?

How to Invest in the Share Market in India?

একজন অনভিজ্ঞ ব্যক্তি হিসাবে বা একজন বিগিনার হিসাবে শেয়ার মার্কেটে বা স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করা খুবই কঠিন এবং জটিল মনে হতে পারে। তবে আজকে ইন্টারনেটের যুগে শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করা যতটা কঠিন বলে মনে হয় ঠিক ততটা কঠিন নয়। বলতে গেলে শেয়ার মার্কেটে ইনভেস্ট করা খুবই সহজ। 

আজকে আমরা আলোচনা করবো যে শেয়ার মার্কেটে কিভাবে ইনভেস্ট করা যায়। তবে তার আগে জেনে নিই শেয়ার মার্কেট কি এবং কেনো শেয়ার মার্কেটে ইনভেস্ট করবো?

how to invest in stock market


স্টক মার্কেট বা শেয়ার মার্কেট কি(What is The Stock Market)?

খুব সহজ করে বলতে গেলে শেয়ার মার্কেট হলো একটি সর্বজনীন বাজার যেখানে কোনো কোম্পানির স্টক বা শেয়ার কেনা বেচা হয়। কোনো কোম্পানির একটি শেয়ার হলো একটি ইলেকট্রনিক ডকুমেন্ট যা কেনার মাধ্যমে আপনি ওই কোম্পানির আংশিক মালিকানাতে পরিণত হন যা আপনি যখন খুশি বেচে দিতে পারেন। 

বিগত কয়েক দশক ধরে, স্টক এবং রিয়েল এস্টেট হল দুটি বিনিয়োগ, যা ক্রমাগত ভারতে অন্য সব ধরনের বিনিয়োগকে হার মানিয়েছে।

ব্যাঙ্ক ফিক্সড ডিপোজিট, ইন্সুরেন্স, বন্ড বা সোনা যাই হোক না কেন স্টক মার্কেট প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে এদের থেকে বেশি রিটার্ন দিয়ে থাকে। 

তাই বলা হয় যে যারা তাদের টাকাকে বাড়াতে চান তাদের খুব অল্প বয়স থেকেই স্টক মার্কেটে ইনভেস্ট করা উচিত। 

ভারতের দুটি প্রধান স্টক মার্কেট হলো NSE বা ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ এবং BSE বা বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ। 

এর মধ্যে NSE হলো সবথেকে বড়। 

NSE এবং BSE ছাড়া আরো যে স্টক এক্সচেঞ্জ ভারতে আছে তা হলো MCX(মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ) কমোডিটি যেমন সোনা, অ্যালুমিনিয়াম ইত্যাদি কেনা বেচা করার জন্য এবং IEX(ইন্ডিয়ান এনার্জি এক্সচেঞ্জ)।

অনলাইনে কিভাবে ভারতে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করবেন(How to Invest in the Share Market in India Online)?

এখন আপনি যদি ভাবেন যে স্টক মার্কেটে ইনভেস্ট করবেন তাহলে সরাসরি আপনি ইনভেস্ট করতে পারবেন না। আপনাকে স্টক মার্কেটে শেয়ার কেনাবেচা করতে হলে যে কোনো ব্রোকারের মাধ্যমে  বা আপনাকে কোনো স্টক ব্রোকারের প্লাটফর্ম(ওয়েবসাইট বা App) ব্যবহার করে শেয়ার কেনা বেচা করতে হবে। 

  • স্টক কেনাবেচা শুরু করতে হলে আপনাকে একটি ট্রেডিং একাউন্ট খুলতে হবে। ট্রেডিং একাউন্ট হলো এমন একটি একাউন্ট যেখানে আপনি আপনার শেয়ার কেনা বেচা করবেন বা অর্ডার প্লেস করবেন। 
  • ব্রোকার বা স্টক ব্রোকারেজ প্লাটফর্ম আপনার জন্য একটি demat account খুলবে যাতে আপনার কেনা শেয়ার বা স্টক গুলো আপনার নামে জমা থাকবে। Demat account সম্পর্কে আপনার যদি বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে বলবো যে আপনি Demat Account কে একটি গোডাউন হিসাবে ধরতে পারেন। গোডাউনে যেমন কোনো ব্যাবসার জিনিস রেখে দেওয়া হয় তেমনি করে Demat Account এ আপনার কেনা শেয়ার গুলো জমা থাকবে যতদিন না আপনি সেগুলি বিক্রি করেন।
  • ট্রেডিং একাউন্ট এবং Demat একাউন্ট দুটি আপনার ব্যাঙ্ক একাউন্ট এর সাথে যুক্ত থাকে যাতে আপনার বিক্রি করা শেয়ার থেকে যে অর্থ পাবেন তা আপনার নিজের ব্যাঙ্ক একাউন্ট এ তুলে নিতে পারেন বা ইচ্ছামতো ব্যাঙ্ক একাউন্ট থেকে ট্রেডিং একাউন্ট এ টাকা ভরতে পারেন শেয়ার কেনার জন্য। 


একটি ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলতে আপনার কোন কোন নথির প্রয়োজন(What Documents do You Need to Open a Demat Account?)?

 একটি Demat Account খুলতে যা যা লাগবে:

ব্যাঙ্ক একাউন্ট(Bank Account);

প্যান কার্ড(Pan Card) ;

ঠিকানার প্রমান(Proof of Address);

ক্যানসিল্ড চেক বা ব্যাংকের লাস্ট ৩ বা ৬ মাসের স্টেটমেন্ট (Canceled Check or Statement of Bank of last 3 or 6 months).


শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে কত খরচ হয় এবং কোন ব্রোকার ব্যবহার করা উচিত (What is the cost of investing in the stock market and Which Broker Should I Use)?

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে কত টাকা খরচ হয় তা নির্ভর করে আপনি শেয়ার কেনাবেচা করতে কোন ব্রোকার বা কোন ব্রোকারের প্লাটফর্ম ব্যবহার করছেন। 

কারণ ভিন্ন ভিন্ন ব্রোকার তাদের প্লাটফর্ম ব্যবহার করার জন্য ভিন্ন ভিন্ন চার্জ নিয়ে থাকে।

তবে আপনি যদি ঠিকমতো ব্রোকার বেছে নিতে পারেন তাহলে আপনার খরচ অনেকটাই কমে যাবে। 

খরচ এর ব্যাপারে যখন বলছি তখন বলে রাখা ভালো যে শেয়ার মার্কেটে শেয়ার কেনাবেচা দুই ধরণের হয়ে থাকে।

 একরকম হলো যেদিন কিনবেন সে দিনই যদি শেয়ার বেচে দেন যা Intraday ট্রেডিং নামে পরিচিত এবং আরেক রকম হলো যে আজ হয়তো শেয়ার কিনলেন এবং বিক্রি করলেন এক সপ্তাহ বা এক মাস বা এক বছর বা দশ বছর পরে।

 এরকম বেশি সময় পরে শেয়ার বিক্রি করাকে বলা হয় Delivery ট্রেডিং। 

ডেলিভারি এবং Intraday ট্রেডিং এর চার্জ ভিন্ন হয়ে থাকে তবে আমি যে ব্রোকার ব্যবহার করি তা হলো Zerodha.

 Zerodha ডেলিভারি ট্রেডিংয়ের জন্য কোনো চার্জ নেয়না অর্থাৎ zerodha এর মাধ্যমে আপনি কোনো রকম চার্জ ছাড়াই ফ্রিতে অনেক সময় ধরে যে কোনো কোম্পানির শেয়ার কিনে রাখতে পারেন। 

এবং Zerodha তে Intraday ট্রেডিং এর চার্জও ভারতে সব থেকে কম অর্থাৎ ভারতবর্ষে যত ব্রোকার আছে তার মধ্যে Zerodha সব থেকে কম চার্জ নিয়ে থাকে। 
 [Zerodha তে একাউন্ট খুলতে  https://zerodha.com/ লিংকে ক্লিক করুন]

বিনিয়োগের জন্য সর্বনিম্ন কত টাকা প্রয়োজন(The Minimum amount for investing)?

Minimum Investment in Sharemarket in India

ভারতের শেয়ার বাজারে এরকম কোনো সর্বনিম্ন বা সর্বোচ্চ  পরিমান বলে কিছু নেই। একটাকা থেকে শুরু করে আশি হাজার টাকা দামের ওপরে শেয়ার আছে। নির্ভর করছে আপনি কোন কোম্পানির শেয়ার কিনবেন। 

ধরুন আপনি x নামক কোনো কোম্পানির ১ টাকা দামের একশোটি শেয়ার কিনবেন। সেক্ষেত্রে আপনার একশো টাকা লাগবে। 

অথবা ধরুন আপনি y নামক কোনো কোম্পানির ১০ টি শেয়ার কিনবেন যার ১ টি শেয়ারের দাম ৫০০০ টাকা। তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার ৫০,০০০ টাকা লাগবে। 

ভারতীয় স্টক মার্কেটে বিনিয়োগের সর্বনিম্ন বয়স কত(What is the Minimum Age to Invest in Stock Market in India)?

ভারতীয় স্টক মার্কেটে ইনভেস্ট করার জন্য বয়সের বাধ্য বাধকতা নেই। 

তবে যেহেতু Demat Account খুলতে হলে Pan কার্ড লাগে তাই মিনিমাম ১৮ বছর হলেই স্টক মার্কেটে ইনভেস্ট করা যায়। 

কারণ ১৮ বছরের আগে প্যান কার্ড এর জন্য আবেদন করা যায়না। 

তবে কেউ যদি ১৮ বছরের আগেই ইনভেস্ট করতে চাই সেক্ষেত্রে সে তার বাবা বা মায়ের Demat Account ব্যবহার করতে পারে। 


ভারতে স্টক মার্কেটে একজন কত আয় করতে পারে(How much one can earn in stock market in India)?

আপনি এক মাসে স্টক মার্কেট থেকে কত উপার্জন করতে পারেন তার কোনও সীমা নেই। আপনি ট্রেড করে যে অর্থ উপার্জন করতে পারেন তা হাজার, লক্ষ বা তারও বেশি হতে পারে।

তবে আপনার উপার্জন নির্ভর করবে আপনার স্কিল এবং ধৈর্য্যের উপর।

কখন স্টক মার্কেটে ইনভেস্ট শুরু করা উচিত(When Should You Start Investing)?

সমস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য তিনটি সুবর্ণ নিয়ম হল:

  • যত তাড়াতাড়ি পারা যায়  বিনিয়োগ করা শুরু করা;
  • নিয়মিত বিনিয়োগ করা;
  • দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ করা অর্থাৎ অনেক বেশি সময়ের জন্য শেয়ার কিনে রাখা (সব কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় );

সবসময় মনে রাখা উচিত সম্পদ তৈরি করা, এবং বিনিয়োগের উপর রিটার্ন পেতে সময় এবং ধৈর্য লাগে। আদর্শভাবে, যতটা সম্ভব তরুণ বয়সে বিনিয়োগ শুরু করা উচিত।

                                                           অর্থাৎ যে কেউই স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করতে পারে। স্টক মার্কেটে যদি ঠিকমতো সময় দেওয়া যায় এবং ভালো করে স্টক মার্কেট নিয়ে পড়াশোনা করা যায় তাহলে প্রচুর পরিমানে সম্পদ বানানো যায়। 






অনলাইনে কিভাবে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করবেন?

কোভিড-১৯ এর কারণে বেশিরভাগ মানুষের আজ গৃহবন্দি অবস্থায় দিন কাটছে! 

এমনকি বিশ্বব্যাপী লকডাউনের কারণে অনেকেই কাজ হারিয়ে বেকার অবস্থায় দিন যাপন করছেন। 

এই অবস্থায় বাড়িতে বসেই করা যায় এমন কিছু কাজ যদি আপনার জানা থাকে তাহলে কেমন হয়?

চলুন আজ আমরা এমন কিছু কাজ সম্পর্কে জানবো যেগুলো করতে আপনাকে বাড়ির বাইরে যেতে হবেনা বা অফিসে বসের মুখ ঝাড়াও খেতে হবেনা। 

প্রথমেই বলে রাখি যে এই কাজগুলো করতে আপনার শুধুমাত্র একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট থাকলেই হবে।

তবে কিছু কিছু কাজ আপনি আপনার স্মার্ট ফোনের মাধ্যমেও করতে পারবেন।

তো চলুন আর বেশি কথা না বাড়িয়ে কাজগুলো সম্পর্কে জেনে নিই। আমরা আজ যে কাজ গুলো সম্পর্কে আলোচনা করবো সেগুলো হলো:
১. ব্লগিং (Blogging):
২. ট্রেডিং (Trading):
৩. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing):
৪. ইউটিউবার:
৫. সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার:
৬. আমাজনে kindle eBook প্রকাশ করার মাধ্যমে:

উপরে উল্লেখিত কাজগুলি করে আপনি অনলাইন থেকে  প্রচুর পরিমাণে আয় করতে পারবেন। চলুন এবার কাজগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক -
১. ব্লগিং (Blogging): 
আপনি কি প্যাসিভ ইনকাম করতে চান তাহলে দেরি না করে আজই ব্লগিং করা শুরু করুন। 

ব্লগিং এমন একটি উপায় যার মাধ্যমে আপনি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।

আপনি যদি প্রথম ছয় মাস বা একবছর নিয়মিতভাবে আপনার ব্লগে লিখে যেতে পারেন তাহলে ছয় মাস বা একবছর পর আপনাকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হবেনা। 
অন্তত টাকার জন্যে কারো কাছে হাত পাততে হবেনা।

অনেক উপায় আছে যার মাধ্যমে আপনি আপনার ব্লগকে মনেটাইজ (Monetize) বা ব্লগ থেকে ইনকাম করতে পারেন। অন্য কোনো একদিন ব্লগকে কিভাবে Monetize করা যায় সে সম্পর্কে আলোচনা করবো।

কিভাবে একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট বানানো যায় কোনো রকম কোডিং ছাড়াই তার একটি গাইডলাইন আমি আমার অন্য একটি ব্লগে লিখে রেখেছি, চাইলে সেটি দেখে দেখেও আপনি আপনার ব্লগ তৈরি করতে পারেন।(কিভাবে ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরী করতে পারবেন তার গাইড লাইন https://www.smartsourav.com/how-to-start-a-blog-step-by-step-guide-for-beginner/ )

ইচ্ছা করলে ২০ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যেই আপনি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট বানিয়ে ফেলতে পারেন।

আমি আমার ব্লগকে হোস্ট করার জন্য Bluehost ব্যবহার করে থাকি। ইচ্ছা করলে আপনিও Bluehost ব্যবহার করতে পারেন। 
Bluehost ব্যবহার করার কিছু সুবিধা রয়েছে। সেগুলি হলো -
a. Bluehost এ আপনি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট হোস্ট করলে ফ্রীতে ডোমেইন নাম(Domain Name ) নিতে পারবেন যা আপনি অন্য কোনো কোম্পানির থেকে নিতে গেলে প্রতি বছর অতিরিক্ত ৮০০ বা ১০০০ টাকা দিতে হবে। 

b. ফ্রি SSL এবং CDN পাবেন যা অন্য কোম্পানি থেকে নিতে গেলে অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়। 

c . তাছাড়া Bluehost এর সাপোর্ট টীম খুবই নাম করা। ব্লগ বা ওয়েবসাইট নিয়ে কোনো প্রব্লেম হলেই bluehost এর সাহায্যকারী টীম আপনাকে ৩ থেকে ৫ সেকেন্ডের মধ্যেই সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসবে। এমনকি প্রথমবারের মতো যখন ব্লগ তৈরী করবেন তখনও bluehost এর সাপোর্ট টীম আপনাকে সাহায্য করবে ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরী করতে।
 
এছাড়া আরো অনেক সুবিধা পাওয়া যাই যা আমি আমার অন্য কোনো পোস্ট এ উল্লেখ করবো। 
এখানে আমি Bluehost এর লিংক দিয়ে দিলাম যাতে আপনারা সরাসরি bluehost এ গিয়ে ব্লগ তৈরী করে নিতে পারেন এবং আপনার স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতে পারেন।  
লিংক টি হলো :  https://www.bluehost.com/

২. অনলাইন মার্কেট ট্রেডিং (Trading):
অনলাইন মার্কেট ট্রেডিং কে আমি আমার লিস্টের দ্বিতীয় স্থানে রেখেছি কারণ অনলাইন মার্কেট ট্রেডিং বা স্টক মার্কেট ট্রেডিং এ রিস্ক থাকলেও আপনি যদি ঠিকমতো ট্রেডিং শিখে নিতে পারেন তাহলে আপনি আপনার বাড়িতে বসেই ল্যাপটপ বা মোবাইলের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে টাকা আয় করতে পারেন। 

তবে ট্রেডিং এ সবসময় রিস্ক বা ঝুঁকি থেকেই যায় তাই ট্রেডিংয়ে আপনার ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে প্রথম ছয় মাস বা একবছর খুব ভালো করে শিখে নেবেন।

আপনারা হয়তো ওয়ারেন বাফেট বা রাকেশ ঝুনঝুন ওয়ালার কথা শুনে থাকবেন যাঁরা আজ শেয়ার মার্কেট বা স্টক মার্কেট থেকে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা আয় করছেন।
এখন আপনি যদি ভেবে থাকেন যে কোথা থেকে কিভাবে স্টক মার্কেটে ইনভেস্ট বা ট্রেডিং করবেন তাহলে আমি যে ব্রোকার এর কথা বলবো তা হলো Zerodha
Zerodha হলো একমাত্র ব্রোকার যাঁরা খুব কম খরচে ট্রেডিং করার সুযোগ দিয়ে থাকে। 
এমনকি Zerodha এর মাধ্যমে আপনি বিনামূল্যে স্টক মার্কেটে লং পিরিয়ড এর জন্য ইনভেস্ট করতে পারেন।
আমি নিজে Zerodha ব্যাবহার করে থাকি ইনভেস্ট এবং ট্রেডিং এর জন্য।
Zerodha তে account ওপেন করতে চাইলে এই লিংকটি তে গিয়ে করতে পারেন https://zerodha.com/

৩. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing):
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমেও আপনি বাড়িতে বসেই প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা উপায় করতে পারেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মধ্যে আমাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং খুবই জনপ্রিয়। আমাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে যে কেউ ইনকাম করতে পারে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন অ্যাফিলিয়েট অন্য ব্যক্তির বা কোম্পানির পণ্য বা জিনিস  মার্কেটিং এর জন্য একটি কমিশন উপার্জন করে। 
একজন অ্যাফিলিয়েট তার ইচ্ছামতো একটি জিনিসকে তার ব্লগ বা ইউটউব চ্যানেল এর মাধ্যমে প্রচার করে এবং প্রতিটি বিক্রয় থেকে লাভের একটি অংশ উপার্জন করে। 

৪. ইউটিউবার: 
আজকাল আমরা প্রায় সবাই ইউটিউব ব্যাবহার করে থাকি। 

তবে আপনি এটা কি জানেন যে আপনার এবং আমার মত অনেক মানুষ আছে যারা তাদের সম্পূর্ণ আয় করে থাকেন ইউটিউব থেকে। 

হ্যাঁ, ঠিক ই পড়ছেন। 

ইউটিউব থেকে আপনিও ইনকাম করতে পারেন যদি ইচ্ছা থাকে। 

আপনি যেকোনো বিষয়ে ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপনার চ্যানেলে আপলোড করতে পারেন। 

প্রথম দিকে হয়তো অনেক কম মানুষ আপনার ভিডিও দেখবেন কিন্তু ৩ থেকে ৪ মাস যদি আপনি ঠিকমতো পরিশ্রম করেন তাহলে দেখবেন আপনার আপলোড করা ভিডিও আগের থেকে অনেক বেশি মানুষ দেখছেন। 

এবং একটা সময় আপনি ইউটিউবের সাথে পার্টনারশিপের মাধ্যমে আপনার চ্যানেল থেকে প্রচুর পরিমাণে ইনকাম করতে সক্ষম হতে পারবেন।
শুধুমাত্র ইউটিউবের সাথে পার্টনারশিপের মাধ্যমেই নয়, আরো অনেক উপায় আছে যার মাধ্যমে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা উপায় করতে পারেন।
৫. সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সর:
আজকের দিনে ৮ থেকে ৮০ বছরের প্রায় সবাই ফেসবুক ব্যাবহার করে থাকেন বা ফেসবুকের ব্যাপারে জানেন।
তবে বেশিরভাগ মানুষই ফেসবুক ব্যাবহার করে তাদের প্রয়োজনীয় সময় নষ্ট করে থাকেন। 
কিন্তু আমি যদি বলি যে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বা টুইটার এর মত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো ব্যাবহার করেও আপনি প্রচুর টাকা আয় করতে পারেন তাহলে হয়তো ভাববেন যে আমি ভুলভাল বলছি। কিন্তু না। 
আজকের দিনে অনেক মানুষ আছেন যাঁরা ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোকে ব্যাবহার করছেন তাদের আয়ের একটা বড় অংশ উপার্জন করতে।
ফেইসবুকে আপনার যদি ফ্রেন্ড সংখ্যা বা আপনার ফলোয়ার অনেক বেশি হয় তাহলে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া influener হিসাবে অনেক টাকা আয় করতে পারেন।
তাছাড়া আপনি আপনার ফেসবুক প্রোফাইল বা ফেসবুক পেজকে ব্যাবহার করে আপনার ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেলে লক্ষ লক্ষ ভিজিটর টানতে পারেন যা আপনার ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেলের ইনকাম অনেক টাই বাড়িয়ে দিতে পারে। 
৬. আমাজনে kindle eBook প্রকাশ করার মাধ্যমে:
লেখা যদি আপনার প্যাশন হয়, তাহলে লেখার মাধ্যমে যদি ইনকাম করতে পারেন তাহলে ক্ষতি কোথায়? 
আমাজন এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে আপনি আপনার ডিজিটাল বই প্রকাশ করার মাধ্যমেও ইনকাম করতে পারেন। পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ আছেন যারা শুধুমাত্র আমাজন এ ebook প্রকাশ করার মাধ্যমে তাদের প্রয়োজনীয় উপার্জন করে থাকেন। 

 







Write an application to the Headmaster for early leave.

  To     The Headmaster,     Tehatta High School,     Tehatta, Nadia Sir,       I beg most respectfully to state that I am a student of Clas...