এমনকি বিশ্বব্যাপী লকডাউনের কারণে অনেকেই কাজ হারিয়ে বেকার অবস্থায় দিন যাপন করছেন।
এই অবস্থায় বাড়িতে বসেই করা যায় এমন কিছু কাজ যদি আপনার জানা থাকে তাহলে কেমন হয়?
চলুন আজ আমরা এমন কিছু কাজ সম্পর্কে জানবো যেগুলো করতে আপনাকে বাড়ির বাইরে যেতে হবেনা বা অফিসে বসের মুখ ঝাড়াও খেতে হবেনা।
প্রথমেই বলে রাখি যে এই কাজগুলো করতে আপনার শুধুমাত্র একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট থাকলেই হবে।
তবে কিছু কিছু কাজ আপনি আপনার স্মার্ট ফোনের মাধ্যমেও করতে পারবেন।
তো চলুন আর বেশি কথা না বাড়িয়ে কাজগুলো সম্পর্কে জেনে নিই। আমরা আজ যে কাজ গুলো সম্পর্কে আলোচনা করবো সেগুলো হলো:
১. ব্লগিং (Blogging):
২. ট্রেডিং (Trading):
৩. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing):
৪. ইউটিউবার:
৫. সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার:
৬. আমাজনে kindle eBook প্রকাশ করার মাধ্যমে:
উপরে উল্লেখিত কাজগুলি করে আপনি অনলাইন থেকে প্রচুর পরিমাণে আয় করতে পারবেন। চলুন এবার কাজগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক -
১. ব্লগিং (Blogging):
আপনি কি প্যাসিভ ইনকাম করতে চান তাহলে দেরি না করে আজই ব্লগিং করা শুরু করুন।
ব্লগিং এমন একটি উপায় যার মাধ্যমে আপনি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি যদি প্রথম ছয় মাস বা একবছর নিয়মিতভাবে আপনার ব্লগে লিখে যেতে পারেন তাহলে ছয় মাস বা একবছর পর আপনাকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হবেনা।
অন্তত টাকার জন্যে কারো কাছে হাত পাততে হবেনা।
অনেক উপায় আছে যার মাধ্যমে আপনি আপনার ব্লগকে মনেটাইজ (Monetize) বা ব্লগ থেকে ইনকাম করতে পারেন। অন্য কোনো একদিন ব্লগকে কিভাবে Monetize করা যায় সে সম্পর্কে আলোচনা করবো।
কিভাবে একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট বানানো যায় কোনো রকম কোডিং ছাড়াই তার একটি গাইডলাইন আমি আমার অন্য একটি ব্লগে লিখে রেখেছি, চাইলে সেটি দেখে দেখেও আপনি আপনার ব্লগ তৈরি করতে পারেন।(কিভাবে ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরী করতে পারবেন তার গাইড লাইন https://www.smartsourav.com/how-to-start-a-blog-step-by-step-guide-for-beginner/ )
ইচ্ছা করলে ২০ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যেই আপনি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট বানিয়ে ফেলতে পারেন।
আমি আমার ব্লগকে হোস্ট করার জন্য Bluehost ব্যবহার করে থাকি। ইচ্ছা করলে আপনিও Bluehost ব্যবহার করতে পারেন।
Bluehost ব্যবহার করার কিছু সুবিধা রয়েছে। সেগুলি হলো -
a. Bluehost এ আপনি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট হোস্ট করলে ফ্রীতে ডোমেইন নাম(Domain Name ) নিতে পারবেন যা আপনি অন্য কোনো কোম্পানির থেকে নিতে গেলে প্রতি বছর অতিরিক্ত ৮০০ বা ১০০০ টাকা দিতে হবে।
b. ফ্রি SSL এবং CDN পাবেন যা অন্য কোম্পানি থেকে নিতে গেলে অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়।
c . তাছাড়া Bluehost এর সাপোর্ট টীম খুবই নাম করা। ব্লগ বা ওয়েবসাইট নিয়ে কোনো প্রব্লেম হলেই bluehost এর সাহায্যকারী টীম আপনাকে ৩ থেকে ৫ সেকেন্ডের মধ্যেই সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসবে। এমনকি প্রথমবারের মতো যখন ব্লগ তৈরী করবেন তখনও bluehost এর সাপোর্ট টীম আপনাকে সাহায্য করবে ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরী করতে।
এছাড়া আরো অনেক সুবিধা পাওয়া যাই যা আমি আমার অন্য কোনো পোস্ট এ উল্লেখ করবো।
এখানে আমি Bluehost এর লিংক দিয়ে দিলাম যাতে আপনারা সরাসরি bluehost এ গিয়ে ব্লগ তৈরী করে নিতে পারেন এবং আপনার স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতে পারেন।
লিংক টি হলো : https://www.bluehost.com/
২. অনলাইন মার্কেট ট্রেডিং (Trading):
অনলাইন মার্কেট ট্রেডিং কে আমি আমার লিস্টের দ্বিতীয় স্থানে রেখেছি কারণ অনলাইন মার্কেট ট্রেডিং বা স্টক মার্কেট ট্রেডিং এ রিস্ক থাকলেও আপনি যদি ঠিকমতো ট্রেডিং শিখে নিতে পারেন তাহলে আপনি আপনার বাড়িতে বসেই ল্যাপটপ বা মোবাইলের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে টাকা আয় করতে পারেন।
তবে ট্রেডিং এ সবসময় রিস্ক বা ঝুঁকি থেকেই যায় তাই ট্রেডিংয়ে আপনার ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে প্রথম ছয় মাস বা একবছর খুব ভালো করে শিখে নেবেন।
আপনারা হয়তো ওয়ারেন বাফেট বা রাকেশ ঝুনঝুন ওয়ালার কথা শুনে থাকবেন যাঁরা আজ শেয়ার মার্কেট বা স্টক মার্কেট থেকে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা আয় করছেন।
এখন আপনি যদি ভেবে থাকেন যে কোথা থেকে কিভাবে স্টক মার্কেটে ইনভেস্ট বা ট্রেডিং করবেন তাহলে আমি যে ব্রোকার এর কথা বলবো তা হলো Zerodha.
Zerodha হলো একমাত্র ব্রোকার যাঁরা খুব কম খরচে ট্রেডিং করার সুযোগ দিয়ে থাকে।
এমনকি Zerodha এর মাধ্যমে আপনি বিনামূল্যে স্টক মার্কেটে লং পিরিয়ড এর জন্য ইনভেস্ট করতে পারেন।
আমি নিজে Zerodha ব্যাবহার করে থাকি ইনভেস্ট এবং ট্রেডিং এর জন্য।
Zerodha তে account ওপেন করতে চাইলে এই লিংকটি তে গিয়ে করতে পারেন https://zerodha.com/
৩. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing):
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমেও আপনি বাড়িতে বসেই প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা উপায় করতে পারেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মধ্যে আমাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং খুবই জনপ্রিয়। আমাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে যে কেউ ইনকাম করতে পারে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন অ্যাফিলিয়েট অন্য ব্যক্তির বা কোম্পানির পণ্য বা জিনিস মার্কেটিং এর জন্য একটি কমিশন উপার্জন করে।
একজন অ্যাফিলিয়েট তার ইচ্ছামতো একটি জিনিসকে তার ব্লগ বা ইউটউব চ্যানেল এর মাধ্যমে প্রচার করে এবং প্রতিটি বিক্রয় থেকে লাভের একটি অংশ উপার্জন করে।
৪. ইউটিউবার:
আজকাল আমরা প্রায় সবাই ইউটিউব ব্যাবহার করে থাকি।
তবে আপনি এটা কি জানেন যে আপনার এবং আমার মত অনেক মানুষ আছে যারা তাদের সম্পূর্ণ আয় করে থাকেন ইউটিউব থেকে।
হ্যাঁ, ঠিক ই পড়ছেন।
ইউটিউব থেকে আপনিও ইনকাম করতে পারেন যদি ইচ্ছা থাকে।
আপনি যেকোনো বিষয়ে ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপনার চ্যানেলে আপলোড করতে পারেন।
প্রথম দিকে হয়তো অনেক কম মানুষ আপনার ভিডিও দেখবেন কিন্তু ৩ থেকে ৪ মাস যদি আপনি ঠিকমতো পরিশ্রম করেন তাহলে দেখবেন আপনার আপলোড করা ভিডিও আগের থেকে অনেক বেশি মানুষ দেখছেন।
এবং একটা সময় আপনি ইউটিউবের সাথে পার্টনারশিপের মাধ্যমে আপনার চ্যানেল থেকে প্রচুর পরিমাণে ইনকাম করতে সক্ষম হতে পারবেন।
শুধুমাত্র ইউটিউবের সাথে পার্টনারশিপের মাধ্যমেই নয়, আরো অনেক উপায় আছে যার মাধ্যমে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা উপায় করতে পারেন।
৫. সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সর:
আজকের দিনে ৮ থেকে ৮০ বছরের প্রায় সবাই ফেসবুক ব্যাবহার করে থাকেন বা ফেসবুকের ব্যাপারে জানেন।
তবে বেশিরভাগ মানুষই ফেসবুক ব্যাবহার করে তাদের প্রয়োজনীয় সময় নষ্ট করে থাকেন।
কিন্তু আমি যদি বলি যে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বা টুইটার এর মত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো ব্যাবহার করেও আপনি প্রচুর টাকা আয় করতে পারেন তাহলে হয়তো ভাববেন যে আমি ভুলভাল বলছি। কিন্তু না।
আজকের দিনে অনেক মানুষ আছেন যাঁরা ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোকে ব্যাবহার করছেন তাদের আয়ের একটা বড় অংশ উপার্জন করতে।
ফেইসবুকে আপনার যদি ফ্রেন্ড সংখ্যা বা আপনার ফলোয়ার অনেক বেশি হয় তাহলে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া influener হিসাবে অনেক টাকা আয় করতে পারেন।
তাছাড়া আপনি আপনার ফেসবুক প্রোফাইল বা ফেসবুক পেজকে ব্যাবহার করে আপনার ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেলে লক্ষ লক্ষ ভিজিটর টানতে পারেন যা আপনার ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেলের ইনকাম অনেক টাই বাড়িয়ে দিতে পারে।
৬. আমাজনে kindle eBook প্রকাশ করার মাধ্যমে:
লেখা যদি আপনার প্যাশন হয়, তাহলে লেখার মাধ্যমে যদি ইনকাম করতে পারেন তাহলে ক্ষতি কোথায়?
আমাজন এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে আপনি আপনার ডিজিটাল বই প্রকাশ করার মাধ্যমেও ইনকাম করতে পারেন। পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ আছেন যারা শুধুমাত্র আমাজন এ ebook প্রকাশ করার মাধ্যমে তাদের প্রয়োজনীয় উপার্জন করে থাকেন।
Where to learn good trading?
ReplyDeleteTry to read this book 'How To Day Trade Stocks For Profit' by Harvey Walsh.
DeleteOk Thank you
DeleteThis comment has been removed by the author.
ReplyDelete